ইসলামের পোশাক পরিচ্ছদ ও বর্তমান ধারণা
পৃথিবীতে একমাত্র ইসলাম ধর্মরই সকল কিছু আধুনিক। আমরা যারা মুসলিম তারা সবসময় আধুনিকতাকে এবং ইসলামী হুকুম আহকাম অনুযায়ী সর্বদায় নতুনত্বকে গ্রহণ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি, কারন একমাত্র ইসলামই পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মহান আল্লাহ তায়ালা পুরুষ ও নারীদের লজ্জাস্থান নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং বলে দিয়েছেন রাসুল (ছাঃ) কে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে (সুরা আহযাব-৪২)। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ) তার উম্মতকে সর্বদায় এমন পোশাক পরিধান করতে বলেছেন, যেই পোশাক হবে ঢিলেঢালা; এই রকম না যে তা শুধুই হবে পাঞ্জাবী বা জুব্বা। সেইটা যে কোন ধরণের বা যে কোন ফ্যাশানের হতে পারে, হোক না কেন সেইটা শার্ট, টিশার্ট, জামা, কোর্ট, পাঞ্জাবী, জুব্বা ইত্যাদি।আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ) বলেছেনঃ
قد أخرجه مسلم في صحيحه رقم 131 عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ كِبْرٍ قَالَ رَجُلٌ إِنَّ الرَّجُلَ يُحِبُّ أَنْ يَكُونَ ثَوْبُهُ حَسَنًا وَنَعْلُهُ حَسَنَةً قَالَ إِنَّ اللَّهَ جَمِيلٌ يُحِبُّ الْجَمَالَ الْكِبْرُ بَطَرُ الْحَقِّ وَغَمْطُ النَّاسِ .
অর্থাৎ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) রাসুল (ছাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন:"যে ব্যক্তি তার অন্তরের মধ্যে অল্প পরিমাণও অহংকার নিহিত রাখে সেই ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। একজন লোক বললেন যদি কোন লোক তার কাপড় এবং জুতা সুন্দর/উত্তম হয়, তখন রাসুল (ছাঃ) বল্লেন-নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্যকে পছন্দ করেন।" (ছহীহ মুসলিম, হাদিছ নং ১৩১)
উপরোক্ত হাদীছ থেকে বুঝা যায় যে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সৌন্দর্যকে কতটা পছন্দ করেন। আমাদের পোশাক পরিচ্ছদ যত পরিষ্কার থাকবে, যতই ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের হবে ততই দেখতে ভাল লাগবে। তবে সবকিছুই শালীনতার মধ্যে থাকতে হবে।
আমরা একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাব যে, পূর্বেকার যত ধর্ম বা কওম আছে প্রত্যেকের নিজেদের নির্দিষ্ট পোশাক ছিল। যেমন হিন্দু ঠাকুরদের, বৌদ্ধ ফকিরদের, খ্রিষ্টান পাদ্রিদের। আপনি যে কোন ধর্মে যান না কেন, দেখবেন তাদের ধর্মীয় নেতারা নিজেদের পরিচয় বহন করার জন্য এক ধরণের পোশাক নির্ধারণ করে নিয়েছিলেন। যাতে করে তারা ধর্মীয় গুরু বা জ্ঞানী মানুষ হিসেবে সবার সামনে উপস্থাপন করতে পারে। আর এই জিনিসটাই ইসলাম অপছন্দ করে, কারও কোন পোশাক নির্ধারিত নাই। যাতে করে কেউ ধর্মটাকে নিজের হিসেবে উপস্থাপন করতে না পারে। আমি এই পোশাক পরে আছি মানে আমিই শুধু ধর্ম জানি, এই রকম বোধ যেন কারও মধ্যে না আসে। আর তাই আমাদের রাসুল (ছাঃ) বলছেনঃ
قد أخرجه مسلم في صحيحه رقم 131 عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ كِبْرٍ قَالَ رَجُلٌ إِنَّ الرَّجُلَ يُحِبُّ أَنْ يَكُونَ ثَوْبُهُ حَسَنًا وَنَعْلُهُ حَسَنَةً قَالَ إِنَّ اللَّهَ جَمِيلٌ يُحِبُّ الْجَمَالَ الْكِبْرُ بَطَرُ الْحَقِّ وَغَمْطُ النَّاسِ .
অর্থাৎ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) রাসুল (ছাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন:"যে ব্যক্তি তার অন্তরের মধ্যে অল্প পরিমাণও অহংকার নিহিত রাখে সেই ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। একজন লোক বললেন যদি কোন লোক তার কাপড় এবং জুতা সুন্দর/উত্তম হয়, তখন রাসুল (ছাঃ) বল্লেন-নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্যকে পছন্দ করেন।" (ছহীহ মুসলিম, হাদিছ নং ১৩১)
উপরোক্ত হাদীছ থেকে বুঝা যায় যে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সৌন্দর্যকে কতটা পছন্দ করেন। আমাদের পোশাক পরিচ্ছদ যত পরিষ্কার থাকবে, যতই ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের হবে ততই দেখতে ভাল লাগবে। তবে সবকিছুই শালীনতার মধ্যে থাকতে হবে।
আমরা একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাব যে, পূর্বেকার যত ধর্ম বা কওম আছে প্রত্যেকের নিজেদের নির্দিষ্ট পোশাক ছিল। যেমন হিন্দু ঠাকুরদের, বৌদ্ধ ফকিরদের, খ্রিষ্টান পাদ্রিদের। আপনি যে কোন ধর্মে যান না কেন, দেখবেন তাদের ধর্মীয় নেতারা নিজেদের পরিচয় বহন করার জন্য এক ধরণের পোশাক নির্ধারণ করে নিয়েছিলেন। যাতে করে তারা ধর্মীয় গুরু বা জ্ঞানী মানুষ হিসেবে সবার সামনে উপস্থাপন করতে পারে। আর এই জিনিসটাই ইসলাম অপছন্দ করে, কারও কোন পোশাক নির্ধারিত নাই। যাতে করে কেউ ধর্মটাকে নিজের হিসেবে উপস্থাপন করতে না পারে। আমি এই পোশাক পরে আছি মানে আমিই শুধু ধর্ম জানি, এই রকম বোধ যেন কারও মধ্যে না আসে। আর তাই আমাদের রাসুল (ছাঃ) বলছেনঃ
عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
4031 سنن أبي داود كِتَاب اللِّبَاسِ من تشبه بقوم فهو منهم
المحدث ابن حجر العسقلاني خلاصة حكم المحدث إسناده حسن
Comments
Post a Comment